একে-৪৭ ছাড়াও বিশ্বের হাতে গোনা যে কয়েকটি অস্ত্র সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় তাদের মধ্যে অন্যতম হলো M4 কার্বাইন। বাংলাদেশ সোয়াট সদস্য রাও এটি ব্যবহার করে থাকে। 

M4 Carbine হলো M16A2 অ্যাসাল্ট রাইফেল এর হালকা ও ছোট ভার্সন তথা কার্বাইন। ১৯৯৪ রে ইউএস আর্মি এটির ব্যাপক হারে ব্যবহার শুরু করে। এটি ইউএস আর্মির অধিকাংশ এসএমজি ও অ্যাসাল্ট রাইফেল কেই রিপ্লেস করেছে আজ অব্ধি।এটি ইউএস আর্মিতে সার্ভিসে আসে ১৯৯৪ তে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৩০ টির ও অধিক দেশে এটি ব্যবহৃত ও তৈরি হয়। ইউএস আর্মি এম-৪ কারবাইন ছাড়া অনেক টা কল্পনাও করা যায় না।

এটি গ্যাস অপারেটেড ও ন্যাটো স্টান্ডার্ড ক্যালিবার তথা ৫.৫৬x৪৫ মি.মি ক্যালিবার ব্যবহার হয়। তাছাড়া এটিতে অনব্যারেল্ড গ্রেনেড লঞ্চার,নাইফ বেয়নেট,ট্যাকটিকাল ফ্লাশলাইট,লেজার পয়েন্টার ও সাইলেন্সার ও যুক্ত থাকে ভার্সন ভেদে। তাই এটি নি: সন্দেহে সকল বিবেচনায় এম-১৬ অ্যাসাল্ট রাইফেল হতে অধিক কমফরটেবল। অবশ্য একে-৪৭ অল টাইম বস কমফোর্ট এর ক্ষেত্রে 😉

টাইপ :- কার্বাইন
দৈর্ঘ্য :- ৮৩.৮ সে.মি
নলের দৈর্ঘ্য :- ৩৭ সে.মি
ক্যালিবার :-৫.৫৬x৪৫ মি.মি ( ন্যাটো স্টান্ডার্ড)
ওজন :- ৩.৪ কেজি
প্রতি মিনিটে গুলি ছুড়তে পারে :- ৭০০-৯৫০ রাউন্ড
গুলির গতি :- সেকেন্ডে ৮৪০ মিটার
ইফেক্টিভ রেঞ্জ :- ৫০০ মিটার
ম্যাগাজিন :- সাধারনত ৩০ রাউন্ডের।
.
বর্তমানে এম-৪ কমান্ডো নামক এটির একটি ভার্সন ইউএস আর্মির স্পেশাল ফোর্সেস এ ব্যবহৃত হচ্ছে। তার ব্যারেল আরো ছোট। বাংলাদেশের সোয়াট, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কমান্ডোরা এম-৪ কার্বাইন উল্লেখযোগ্য পরিমানে ব্যবহার করে থাকে। ( বিশেষ.অজ্ঞদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে আপনি খুব একটা দেখেন না মানে এই না যে ব্যবহারকরে না।)
.
এটকে প্রস্তুতের পর আজ অব্ধি বেশ কয়েকবার মোডিফাই করা হয়েছে ও এটিকে আরও মোডিফাই করে উন্নত করা হবে।
.
প্রতি এম-৪ এর মুল্য পড়বে ৭০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় ৫৬০০০ টাকা। আমেরিকায় এই অস্ত্র সিভিলিয়ান দের কাছে লিগ্যালিই বিক্রি হয়।
Share To:

K. Nayeem

Post A Comment: