দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের সময় বিভিন্ন টাইপের বিমানবাহী জাহাজের আবির্ভাব ঘটে, এস্কর্ট বিমানবাহী জাহাজ যেমন ‘ইউএসএস বোগি’। এর পরেই আসে লাইট এয়ার ক্র্যাফট ক্যারিয়ার। সুপার ক্যারিয়ারগুলো ৭৫০০০ টনের বেশি বহন ক্ষমতাসম্পন্ন আর নিউক্লিয়ার পাওয়ার চালিত। ‘ইউএসএস টরা’ (ঞধধিৎধ) ‘এইচ এমএস ওসেন’ এয়ার ক্র্যাফট ক্যারিয়ার হলেও এগুলো আসলে হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার কিন্তু একই সঙ্গে ছোট যুদ্ধ বিমান বহনেও সক্ষম।
বিমানবাহী জাহাজ যুদ্ধবিমান দিয়ে আক্রমণে সক্ষম হলেও এর নিজের প্রতিরক্ষা কিন্তু খুব একটা ভালো না৷তাই প্রতি এয়ার ক্র্যাফট ক্যারিয়ারের সঙ্গে সাপোর্টিং যুদ্ধ জাহাজ হিসেবে সাবমেরিন, ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট ইত্যাদি থাকে। এগুলো আকারে সাধারণত ৭৫০০০ টনের উপরে, নিউক্লিয়ার শক্তিচালিত আর কম-বেশি প্রায় সব জাহাজে ৯০টির মতো বিমান থাকে।
ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ: এটি হল বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার৷ মার্কিন নৌ-সেনায় ৫১ বছর ধরে একটি কাজ করছে৷ ‘টপ গান’, ‘স্টার ট্রেক’ ইত্যাদী একাধিক হলিউড সিনেমাতেও দেখা গিয়েছে এই এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের৷
দি নিমিতজ ক্লাস: ১০৯২ ফুট দীর্ঘ, একলক্ষ টনের এই এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটি বিশ্বের অন্যতম সর্বদীর্ঘ যুদ্ধ বিমানবাহী জাহাজ৷
জিরাল্ড আর ফোর্ড ক্লাস: ১১০৬ ফুটের এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটিতেই সর্বপ্রথম শুরু করা হয়েছিল ইলেকট্রোম্যাগনেটিক এয়ারক্রাফট লঞ্চ সিস্টেম৷ এছাড়া আরও বেশকিছু নয়া প্রযুক্তি যা এটার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিল৷
ফরেস্টাল ক্লাস: ১৯৫০-র মার্কিন নৌ-সেনার জন্য তৈরি করা হয়েছিল এই যুদ্ধ বিমানবাহী জাহাজ৷ যেটি ১০৬৬ ফুট দীর্ঘ ও ষাট হাজার টন ওজন৷
অ্যাডমিরাল কুজনেতশোভ ক্লাস: সোভিয়েত নৌ-সেনার জন্য তৈরি শেষ এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার এটি৷







Post A Comment: