সাবমেরিন এর সবচেয়ে বড় অসুবিধে গুলোর একটি হচ্ছে পানির এত নিচে বর্জ্য পদার্থের কি করা যায় ? মিত্রবাহিনীর সাবমেরিন গুলো বর্জ্য পদার্থ গুলোকে সেপটিক ট্যাংক এ রাখতে বাধ্য হতো ও পরে তীরে আসলে তা খালি করা হতো। কিন্তু,এ বর্জ্য এর ফলে সাবমেরিন এর অতি মূল্যবান জায়গা নস্ট হতো অন্যদিকে ওজন ও বেড়ে যেতে। কিন্তু,প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত হওয়ায় জার্মান দের সাবমেরিন এ সমস্যা ছিলো না। কারন জার্মান ইঞ্জিনিয়ার রা এরকম ভাবে সাবমেরিন ডিজাইন করেছিলেন যার ফলে বর্জ্য পদার্থ বয়ে বেড়াতে হতো না,সোজা সমুদ্রেই ফেলে ফেলে দেওয়া হতো।
ডিজাইন টা অনেক টা এরকম যে টয়লেটের কাজ সারার পর টয়লেটের ফ্লাশের সাথেই বর্জ্য গুলোকে টর্পেডো টিউবের মধ্য দিয়ে বাতাসের সাথে তীব্র বেগে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে দেওয়া হতো। এ টয়লেট কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তার ওপর জার্মান সাবমেরিনার দের স্পেশাল ট্রেনিং থাকত।
ঝামেলাটা হয় ১৯৪৫ সালের ১৪ এপ্রিল,জার্মান ইউ বোট U-1206 এ। এ সাবমেরিন এর ক্যাপ্টেন ছিলেন একজন ২৭ বছর বয়সী যুবক,কার্ল এডলফ শ্লিট। প্রথম বারের মতো কমব্যাট টহলে বের হওয়া এ সাবমেরিন এর টহলের অস্টম দিনের দিন এ ঘটনা ঘটে। ক্যাপ্টেন নিজেই টয়লেট এর এ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে অত টা দক্ষ না হয়েই সে টয়লেট ব্যবহার করতে যান। যেহেতু সে দক্ষ ছিলো না অত টা,সে টয়লেট শেষে সে বর্জ্য টর্পেডো আকারে নিক্ষেপ করার ভালভের পরিবর্তে তা অন্যভাবে টেনে ধরেন আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। সকল বর্জ্য সাবমেরিন এর বাইরে যাওয়ার পরিবর্তে সাবমেরিন এর ভিতরেই অবমুক্ত হয়ে যায়। .
ভাগ্য খারাপ হওয়ায়,সে সাবমেরিন এ টয়লেটের একদম নিচেই ছিলো ব্যাটারি ইউনিট। তো সেই বর্জ্য যখন এ ব্যাটারি ইউনিটে পৌছে সেখানে পশ্রাবের সাথে সে ব্যাটারির উপাদান গুলোর ক্যামিকেল বিক্রিয়ায় ব্যাপক পরিমানে ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন হতে থাকে। আর নিচে থাকা সম্ভব নয় বিধায় ক্যাপ্টেন সাবমেরিন টিকে সার্ফেসে নিয়ে আসতে অর্ডার দেন। .
সেদিন ওই সাবমেরিন এর ভাগ্য শুধু খারাপ না,মারাত্নক খারাপ ছিলো। কারন যেখানে এ ঘটনাটা ঘটে তা ছিলো ব্রিটিশ উপকূল হতে মাত্র ১০ মাইল দূরে। ফলে সাবমেরিন সার্ফেসে উঠার সাথে সাথেই সাবমেরিন এর উপর ব্রিটিশ বিমান হতে সাবমেরিন এর উপর বোমাবর্ষন শুরু হয়। ফলে ক্যাপ্টেনের কাছে আর কোন উপায় না থাকায়,তিনি সবাইকে সাবমেরিন ছেড়ে দিয়ে সাতারের আদেশ দেন ও যারাই অবশেষে বেচে যায়,তাদের সকলকেই ব্রিটিশ সেনারা বন্দী করে নিয়ে যায়। আর এভাবেই,কেবল টয়লেট ফ্ল্যাশ করতে সামান্য ভূলেই এত বড় মাশুল দিতে হয় জার্মান সাবমেরিনার দের।
nuclear weapons info nuclear weapons info nuclear weapons info nuclear weapons info nuclear weapons info nuclear weapons info nuclear weapons info nuclear weapons info nuclear weapons info weapons information weapons information weapons information weapons information world war 1 weapons information world war 1 weapons information world war 1 weapons information world war 1 weapons information weapons information weapons information weapons information weapons information world war 1 weapons information world war 1 weapons information world war 2 weapons information world war 2 weapons information world war 2 weapons information bangla news bangla news bangla news bangla news bangla news bangla news bangla news weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons names weapons of indian army weapons of indian army weapons of indian army weapons of indian army weapons of indian army weapons of indian army weapons of indian army weapons of indian army weapons of the weak weapons of the weak weapons of the weak weapons of the weak weapons of the weak weapons of the weak weapons of the weak weapons of the weak weapons of the weak weapons of the weak


Post A Comment: